
অপেক্ষা
Rating: 0.0 | Likes: 0 | Views: 14 | Shares: 0
চন্দনা ও অয়ন – কলেজ জীবনের বন্ধু। এরপর প্রেম। ছয় বছরের সম্পর্কে ভালোবাসা যেমন ছিল, তেমন ছিল ভুল বোঝাবুঝিও।
একদিন হঠাৎ করেই একটা ভুলে ভরা তর্কের পর চন্দনা বলে ফেলেছিল,
“তুমি শুধু নিজের কথা বোঝো। এই সম্পর্কটা একতরফা।”
অয়ন চুপ করে শুনেছিল, মুখে কোনো উত্তর দেয়নি, শুধু বলেছিল,
“একদিন বুঝবে, আমি সবসময় পাশে ছিলাম, শুধু তুমি পাশ ফিরে তাকাওনি।”
এরপর কোনো যোগাযোগ নেই। সময় কেটে গেছে পাঁচ বছর।
এখন চন্দনা একজন প্রতিষ্ঠিত স্কুল শিক্ষিকা। প্রতিদিন সকালে ব্যাগ গুছিয়ে ক্লাসে ঢোকে, হাসে, বোঝায় — কিন্তু রাত হলে নিজের একাকীত্ব নিয়ে পড়ে থাকে।
অয়ন? সে এখন এক NGO-তে কাজ করে, পথশিশুদের পড়ায়। তার জীবন সাদামাটা, কিন্তু মনের মধ্যে একটা দাগ এখনও তাজা — চন্দনার কথা।
তবে কেউই আর যোগাযোগ করেনি। অভিমান একটা দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে।
একদিন হঠাৎ:
স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আনা হয় এক সংস্থাকে — ‘আলো’ — যারা পথশিশুদের শিক্ষা দেয়।
দুইজন প্রতিনিধি এসেছেন। একজন নারী, একজন পুরুষ।
চন্দনা অফিস কক্ষে বসে, অতিথিদের পরিচিতি নিচ্ছিলেন।
হঠাৎ দরজা দিয়ে ঢুকেই যে পুরুষটি দাঁড়াল — সে আর কেউ নয়, অয়ন।
চোখাচোখি হল। মুহূর্তটা যেন থেমে গেল।
কোনো কথাই হল না সেদিন, শুধু চাহনির মধ্যে অনেক প্রশ্ন, অনেক উত্তর ঘুরে বেড়াল।
অনুষ্ঠান শেষে অয়ন ফিরে যাওয়ার সময় টিচার্স রুমে রেখে যাওয়া এক খাম পৌঁছে দিল এক ছাত্র।
চন্দনা খাম খুলে দেখল একটি চিরকুট –
“যদি এখনো মনে করো, আমি শুধু নিজের কথা ভাবি, তাহলে চলে যাবো।
আর যদি মনে করো, আমি একবার হলেও তোমার অপেক্ষায় ছিলাম — তাহলে সামনের শুক্রবার বিকেল চারটায় গড়িয়াহাট বইমেলার সামনের বেঞ্চে এসো। আমি থাকবো।”
চন্দনা অনেকক্ষণ চুপ করে বসে ছিল।
পরদিন স্কুলের শেষে সে অফিস রেজিস্টারে একটি নোট লিখল –
“শুক্রবার স্কুল ছুটির পরে ব্যক্তিগত কারণবশত ছুটি নিচ্ছি।”
শুক্রবার বিকেল ৩:৫৫।
গড়িয়াহাটের বইমেলার সামনের বেঞ্চে এক যুবক বসে আছে, হাতে একটা পুরোনো বই — “শেষের কবিতা”।
চারটা বাজে।
পায়ের শব্দ শুনে সে চোখ তোলে —
চন্দনা দাঁড়িয়ে।
কোনো কথা নেই।
শুধু একটা হালকা হাসি, আর চোখের কোণে জল।
অয়ন বলল,
“তুমি পাশ ফিরে তাকালে দেখতে পেতে, আমি তো আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলাম।”
গল্পের শিক্ষা:
সবাই ফিরে আসে না — কিন্তু যারা ফিরে আসে, তারা সত্যিই আপন।
একদিন হঠাৎ করেই একটা ভুলে ভরা তর্কের পর চন্দনা বলে ফেলেছিল,
“তুমি শুধু নিজের কথা বোঝো। এই সম্পর্কটা একতরফা।”
অয়ন চুপ করে শুনেছিল, মুখে কোনো উত্তর দেয়নি, শুধু বলেছিল,
“একদিন বুঝবে, আমি সবসময় পাশে ছিলাম, শুধু তুমি পাশ ফিরে তাকাওনি।”
এরপর কোনো যোগাযোগ নেই। সময় কেটে গেছে পাঁচ বছর।
এখন চন্দনা একজন প্রতিষ্ঠিত স্কুল শিক্ষিকা। প্রতিদিন সকালে ব্যাগ গুছিয়ে ক্লাসে ঢোকে, হাসে, বোঝায় — কিন্তু রাত হলে নিজের একাকীত্ব নিয়ে পড়ে থাকে।
অয়ন? সে এখন এক NGO-তে কাজ করে, পথশিশুদের পড়ায়। তার জীবন সাদামাটা, কিন্তু মনের মধ্যে একটা দাগ এখনও তাজা — চন্দনার কথা।
তবে কেউই আর যোগাযোগ করেনি। অভিমান একটা দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে।
একদিন হঠাৎ:
স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আনা হয় এক সংস্থাকে — ‘আলো’ — যারা পথশিশুদের শিক্ষা দেয়।
দুইজন প্রতিনিধি এসেছেন। একজন নারী, একজন পুরুষ।
চন্দনা অফিস কক্ষে বসে, অতিথিদের পরিচিতি নিচ্ছিলেন।
হঠাৎ দরজা দিয়ে ঢুকেই যে পুরুষটি দাঁড়াল — সে আর কেউ নয়, অয়ন।
চোখাচোখি হল। মুহূর্তটা যেন থেমে গেল।
কোনো কথাই হল না সেদিন, শুধু চাহনির মধ্যে অনেক প্রশ্ন, অনেক উত্তর ঘুরে বেড়াল।
অনুষ্ঠান শেষে অয়ন ফিরে যাওয়ার সময় টিচার্স রুমে রেখে যাওয়া এক খাম পৌঁছে দিল এক ছাত্র।
চন্দনা খাম খুলে দেখল একটি চিরকুট –
“যদি এখনো মনে করো, আমি শুধু নিজের কথা ভাবি, তাহলে চলে যাবো।
আর যদি মনে করো, আমি একবার হলেও তোমার অপেক্ষায় ছিলাম — তাহলে সামনের শুক্রবার বিকেল চারটায় গড়িয়াহাট বইমেলার সামনের বেঞ্চে এসো। আমি থাকবো।”
চন্দনা অনেকক্ষণ চুপ করে বসে ছিল।
পরদিন স্কুলের শেষে সে অফিস রেজিস্টারে একটি নোট লিখল –
“শুক্রবার স্কুল ছুটির পরে ব্যক্তিগত কারণবশত ছুটি নিচ্ছি।”
শুক্রবার বিকেল ৩:৫৫।
গড়িয়াহাটের বইমেলার সামনের বেঞ্চে এক যুবক বসে আছে, হাতে একটা পুরোনো বই — “শেষের কবিতা”।
চারটা বাজে।
পায়ের শব্দ শুনে সে চোখ তোলে —
চন্দনা দাঁড়িয়ে।
কোনো কথা নেই।
শুধু একটা হালকা হাসি, আর চোখের কোণে জল।
অয়ন বলল,
“তুমি পাশ ফিরে তাকালে দেখতে পেতে, আমি তো আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলাম।”
গল্পের শিক্ষা:
সবাই ফিরে আসে না — কিন্তু যারা ফিরে আসে, তারা সত্যিই আপন।
No comments yet.