
বেলুনওয়ালার স্বপ্ন
Rating: 0.0 | Likes: 0 | Views: 19 | Shares: 0
ভোরের আলো একটু একটু করে ছড়িয়ে পড়ছিল। পেছনের গলির মোড়ে একটা ছোট্ট দোকানের পাশে বসে ছিল ছেলেটা। বয়স বেশি হলে আট কি নয়। গায়ের রং একটু চাপা, চুল এলোমেলো, পায়ে ছেঁড়া স্যান্ডেল—তবু চোখদুটো এত উজ্জ্বল, যেন সেই চোখে রঙিন স্বপ্ন জমা।
তার হাতে ধরা ছিল রঙিন বেলুনের গুচ্ছ। লাল, নীল, হলুদ, সবুজ—যেন তার নিজের শৈশবটাকেই এক গুচ্ছ রঙে বেঁধে রেখেছে।
নাম তার "রোহিত"। প্রতিদিন সকালে মা তার ঘুম ভাঙান, কাঁধে একটা পুরোনো ব্যাগ ঝুলিয়ে দেয়—সেই ব্যাগেই কিছু বেলুন, একটা হাওয়াভরা ছোট পাম্প, আর দুটো বিস্কুট। তারপর রোহিত বেরিয়ে পড়ে—স্টেশন, পার্ক, ট্র্যাফিক সিগন্যাল, যেখানে কিছু শিশুর মুখে হাসি থাকে, সেখানেই সে।
রোহিত জানে, ওর বয়সীদের হাতে থাকে খেলনা, গলায় ঝুলে স্কুলব্যাগ। ওদের দুপুরে খিচুড়ির গন্ধে স্কুলের বারান্দা ভরে ওঠে, আর রোহিতের দুপুর কাটে ফুটপাথে বসে, মাটির ওপর রাখা এক বোতল জল আর আধখাওয়া বিস্কুট নিয়ে।
তবু সে কাঁদে না। কখনও যদি কেউ বলে—“একটা বেলুন দাও”—সে হাসিমুখে এগিয়ে দেয়। কেউ একটু কম দাম দিলেও কিছু বলে না। শুধু ভাবে, “বাচ্চাটা তো হাসছে" তার হাসিতেই রোহিতের আনন্দ !”
একদিন পার্কে এক দম্পতি এল তাদের মেয়েকে নিয়ে। মেয়েটি দেখেই চিৎকার করে উঠল, “মা! বেলুন! বেলুন!”
রোহিত এগিয়ে গেল। মেয়েটিকে একটি বেলুন দিয়ে বলল,
“এই লালটা রাখো, এটা আমার সবচেয়ে প্রিয়।”
মেয়েটির মা খেয়াল করলেন ছেলেটির গায়ের জামা ছেঁড়া, মুখে ক্লান্তি। তিনি কিছু টাকা বাড়িয়ে দিলেন। রোহিত মাথা নাড়িয়ে বলল,
“না কাকিমা, আমি কাজ করি টাকার জন্য, দয়া নেব না। আপনি একটা বেলুনের দাম দিন।”
মেয়েটির মা অবাক হলেন । এমন আত্মসম্মান বুকে লালন করা একটা ছোট ছেলের সামনে যেন নিজেকে ছোট লাগছিল।
সন্ধ্যাবেলা রোহিত ফিরে এল মায়ের কাছে। মা জিজ্ঞেস করলেন, “আজ কেমন বিক্রি হলো রে?”
রোহিত হেসে বলল, “কম। কিন্তু আজ আমি একটা নতুন জিনিস শিখলাম—লাল বেলুন দিয়ে হাসি ফোটানো যায়।”
সে রাতে মা চুপচাপ ছেলেকে জড়িয়ে ধরলেন। জানতেই পারলেন না, তার চোখের জলে ছেলের পিঠ ভিজে গেছে। ছেলেও চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে রইল ।
তার হাতে ধরা ছিল রঙিন বেলুনের গুচ্ছ। লাল, নীল, হলুদ, সবুজ—যেন তার নিজের শৈশবটাকেই এক গুচ্ছ রঙে বেঁধে রেখেছে।
নাম তার "রোহিত"। প্রতিদিন সকালে মা তার ঘুম ভাঙান, কাঁধে একটা পুরোনো ব্যাগ ঝুলিয়ে দেয়—সেই ব্যাগেই কিছু বেলুন, একটা হাওয়াভরা ছোট পাম্প, আর দুটো বিস্কুট। তারপর রোহিত বেরিয়ে পড়ে—স্টেশন, পার্ক, ট্র্যাফিক সিগন্যাল, যেখানে কিছু শিশুর মুখে হাসি থাকে, সেখানেই সে।
রোহিত জানে, ওর বয়সীদের হাতে থাকে খেলনা, গলায় ঝুলে স্কুলব্যাগ। ওদের দুপুরে খিচুড়ির গন্ধে স্কুলের বারান্দা ভরে ওঠে, আর রোহিতের দুপুর কাটে ফুটপাথে বসে, মাটির ওপর রাখা এক বোতল জল আর আধখাওয়া বিস্কুট নিয়ে।
তবু সে কাঁদে না। কখনও যদি কেউ বলে—“একটা বেলুন দাও”—সে হাসিমুখে এগিয়ে দেয়। কেউ একটু কম দাম দিলেও কিছু বলে না। শুধু ভাবে, “বাচ্চাটা তো হাসছে" তার হাসিতেই রোহিতের আনন্দ !”
একদিন পার্কে এক দম্পতি এল তাদের মেয়েকে নিয়ে। মেয়েটি দেখেই চিৎকার করে উঠল, “মা! বেলুন! বেলুন!”
রোহিত এগিয়ে গেল। মেয়েটিকে একটি বেলুন দিয়ে বলল,
“এই লালটা রাখো, এটা আমার সবচেয়ে প্রিয়।”
মেয়েটির মা খেয়াল করলেন ছেলেটির গায়ের জামা ছেঁড়া, মুখে ক্লান্তি। তিনি কিছু টাকা বাড়িয়ে দিলেন। রোহিত মাথা নাড়িয়ে বলল,
“না কাকিমা, আমি কাজ করি টাকার জন্য, দয়া নেব না। আপনি একটা বেলুনের দাম দিন।”
মেয়েটির মা অবাক হলেন । এমন আত্মসম্মান বুকে লালন করা একটা ছোট ছেলের সামনে যেন নিজেকে ছোট লাগছিল।
সন্ধ্যাবেলা রোহিত ফিরে এল মায়ের কাছে। মা জিজ্ঞেস করলেন, “আজ কেমন বিক্রি হলো রে?”
রোহিত হেসে বলল, “কম। কিন্তু আজ আমি একটা নতুন জিনিস শিখলাম—লাল বেলুন দিয়ে হাসি ফোটানো যায়।”
সে রাতে মা চুপচাপ ছেলেকে জড়িয়ে ধরলেন। জানতেই পারলেন না, তার চোখের জলে ছেলের পিঠ ভিজে গেছে। ছেলেও চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে রইল ।
No comments yet.