
ভালোবাসা ঠিকানা খুঁজে নেই
Rating: 0.0 | Likes: 0 | Views: 21 | Shares: 1
রাহুলের একটা স্বপ্ন আছে—সে চায় কেউ তাকে চিঠি পাঠাক। এমন একটা খাম, যেটার উপর তার নাম থাকবে, “শ্রী রাহুল দাস, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ।”
প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর সে যায় পোস্ট অফিসের সামনে। বাঁশের বেড়ার পাশে বসে থাকে চুপচাপ। সুধাংশু কাকু জিজ্ঞেস করেন,
“আবার এলি? কার চিঠির অপেক্ষা রে?”
রাহুল হেসে বলে,
“কে জানে কাকু, কেউ তো পাঠাতেই পারে!”
দিন যায়। উৎসব আসে, পুজো আসে, আবার চলে যায়। চিঠি আসে, কিন্তু সবই অন্য কারও নামে।
একদিন সন্ধ্যায়, ঠান্ডা বাতাস বইছে, দূরে কোনো ট্রেন চলে গেল। হঠাৎ সুধাংশু কাকু ব্যাগের তলা থেকে একটা হলুদ খাম বার করলেন।
“দ্যাখ, আজ তোর নামেই একটা চিঠি এসেছে!”
রাহুল থমকে গেল। চোখ কেমন জ্বলজ্বল করছে। হাত কাঁপে।
“সত্যি কাকু? আমার নামে?”
“হ্যাঁ রে, ঠিকানায় তোর নাম লেখা। খুলে দ্যাখ।”
চিঠি খুলে পড়ল রাহুল—
প্রিয় রাহুল,
জানি না কে তোর আপনজন, তুই কার জন্য এত চিঠির অপেক্ষা করিস।
কিন্তু জানিস, আমি রোজ তোকে দেখি ওই পোস্ট অফিসের বাঁধা জায়গায় বসে থাকতে।
তোকে দেখে মনে হয়—এই ছেলেটা শুধু একটা খাম খুঁজছে না, খুঁজছে কিছু ভালোবাসা, একটু আপনজনের ছোঁয়া।
রাহুল, তোর জীবনের এই অপেক্ষা আমাকে ভাবায়।
আমি কেউ নই তোর জীবনে, তবুও লিখলাম—কারণ তুই বিশ্বাস করতে শেখাস।
তুই একদিন অনেক বড় হবি।
মনে রাখিস, ভালোবাসা সবসময় ঠিকানা খুঁজে নেয়।
ভালোবাসা রইল—
তোর এক অচেনা শুভাকাঙ্ক্ষী
রাহুল কিছুক্ষণ চুপ করে চিঠিটা পড়ে। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে জল। কিন্তু মুখে একটাও কথা নেই। শুধু মৃদু একটা হাসি খেলে যায় ঠোঁটে।
সেই রাতে সে প্রথমবার তার দিদাকে জড়িয়ে বলেছিল—
“দিদা, কেউ আমায় চিঠি পাঠিয়েছে!”
সব চাওয়া হয়তো পূরণ হয় না, কিন্তু যদি কারও ভালোবাসার অপেক্ষায় মন সজাগ থাকে, তাহলে অচেনা কেউ ঠিক একটা চিঠি পাঠিয়ে যায় জীবনের ঠিকানায়।
এই গল্প শেখায়—
ভালোবাসা চাওয়া যায় না, কিন্তু তা পৌঁছে যায় ঠিক সময়েই—ঠিক ঠিকানায়।
প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর সে যায় পোস্ট অফিসের সামনে। বাঁশের বেড়ার পাশে বসে থাকে চুপচাপ। সুধাংশু কাকু জিজ্ঞেস করেন,
“আবার এলি? কার চিঠির অপেক্ষা রে?”
রাহুল হেসে বলে,
“কে জানে কাকু, কেউ তো পাঠাতেই পারে!”
দিন যায়। উৎসব আসে, পুজো আসে, আবার চলে যায়। চিঠি আসে, কিন্তু সবই অন্য কারও নামে।
একদিন সন্ধ্যায়, ঠান্ডা বাতাস বইছে, দূরে কোনো ট্রেন চলে গেল। হঠাৎ সুধাংশু কাকু ব্যাগের তলা থেকে একটা হলুদ খাম বার করলেন।
“দ্যাখ, আজ তোর নামেই একটা চিঠি এসেছে!”
রাহুল থমকে গেল। চোখ কেমন জ্বলজ্বল করছে। হাত কাঁপে।
“সত্যি কাকু? আমার নামে?”
“হ্যাঁ রে, ঠিকানায় তোর নাম লেখা। খুলে দ্যাখ।”
চিঠি খুলে পড়ল রাহুল—
প্রিয় রাহুল,
জানি না কে তোর আপনজন, তুই কার জন্য এত চিঠির অপেক্ষা করিস।
কিন্তু জানিস, আমি রোজ তোকে দেখি ওই পোস্ট অফিসের বাঁধা জায়গায় বসে থাকতে।
তোকে দেখে মনে হয়—এই ছেলেটা শুধু একটা খাম খুঁজছে না, খুঁজছে কিছু ভালোবাসা, একটু আপনজনের ছোঁয়া।
রাহুল, তোর জীবনের এই অপেক্ষা আমাকে ভাবায়।
আমি কেউ নই তোর জীবনে, তবুও লিখলাম—কারণ তুই বিশ্বাস করতে শেখাস।
তুই একদিন অনেক বড় হবি।
মনে রাখিস, ভালোবাসা সবসময় ঠিকানা খুঁজে নেয়।
ভালোবাসা রইল—
তোর এক অচেনা শুভাকাঙ্ক্ষী
রাহুল কিছুক্ষণ চুপ করে চিঠিটা পড়ে। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে জল। কিন্তু মুখে একটাও কথা নেই। শুধু মৃদু একটা হাসি খেলে যায় ঠোঁটে।
সেই রাতে সে প্রথমবার তার দিদাকে জড়িয়ে বলেছিল—
“দিদা, কেউ আমায় চিঠি পাঠিয়েছে!”
সব চাওয়া হয়তো পূরণ হয় না, কিন্তু যদি কারও ভালোবাসার অপেক্ষায় মন সজাগ থাকে, তাহলে অচেনা কেউ ঠিক একটা চিঠি পাঠিয়ে যায় জীবনের ঠিকানায়।
এই গল্প শেখায়—
ভালোবাসা চাওয়া যায় না, কিন্তু তা পৌঁছে যায় ঠিক সময়েই—ঠিক ঠিকানায়।
No comments yet.