
গল্প: শেষবারের মতো...
Rating: 0.0 | Likes: 0 | Views: 94 | Shares: 0
ঘটনা শুরু হয় এক বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায়।
কলকাতার গড়িয়াহাট মোড়। রাস্তার ধারে ফুটপাথে বসে ফল বিক্রি করেন বৃদ্ধা শোভা দিদি। বয়স প্রায় সত্তর, মুখে রোদে পোড়া রেখা, পলিথিনে মুড়ে রাখা কিছু কমলা আর আপেল তার সঙ্গী।
একটি কিশোর – নাম রোহিত – ক্লাস ইলেভেনের ছাত্র, মেধাবী, কিন্তু ইদানীং বদলে গেছে। মা-বাবার কড়া শাসন, পরীক্ষার চাপ, আর মনের গভীরে জমে থাকা কিছু দুঃখ তাকে একটা অন্যরকম রাস্তায় নিয়ে গেছে — বন্ধুদের সঙ্গে মাঝে মাঝে পকেটে থাকা বাড়ির টাকা চুরি করে, গাঁ*জা খায়, আর নিজের রাগ ঝাড়ে অচেনা মানুষের ওপর।
সেদিন সন্ধ্যেয়, বন্ধুদের সঙ্গে সে চ্যালেঞ্জ করে –
“দেখবি, ওই বুড়ির থেকে একটা আপেল তুলে নিয়ে আসব, আর উনি কিছু করতে পারবেন না।”
সবার হাসি, হাততালি।
রোহিত দৌড়ে গিয়ে শোভা দিদির থেকে একটা আপেল কাড়ে। দিদি কিছু না বলে, শুধু হাত বাড়িয়ে বললেন —
“বাবা, ওটা নিও, কিন্তু টাকাটা দিয়ে দিও, আমি আজ দুপুর থেকে কিছু খাইনি।”
রোহিত থমকে গেল।
চোখাচোখি হল কয়েক সেকেন্ড।
সেই চোখে রাগ ছিল না, ছিল একটা অসহায় অভিমান।
সে ফিরেও তাকাল না, চলে গেল, কিন্তু রাতে ঘুম এল না।
পরদিন সে ঠিক করল, ক্ষমা চাইবে।
সকালে স্কুল যাওয়ার আগে সে নিজের টিফিনের জন্য রাখা ২০ টাকা পকেটে নিয়ে গেল। গড়িয়াহাট মোড়ে গিয়ে দেখে, শোভা দিদির জায়গায় একটা ফুলের মালা পড়ে আছে, আর পাশে কয়েকজন দোকানদার কাঁধে মাথা ঝুঁকিয়ে বলছে — “কাল রাতেই চলে গেলেন।”
রোহিত স্তব্ধ হয়ে গেল।
তার চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়ছে, কেউ দেখছে কি না, তাতে কিছু যায় আসে না।
গল্পের শিক্ষা:
ক্ষমা চাওয়ার জন্য দেরি করলে হয়তো সামনে আর কেউ থাকবে না, শুধু থাকবে অপরাধবোধের এক পাহাড়।
কলকাতার গড়িয়াহাট মোড়। রাস্তার ধারে ফুটপাথে বসে ফল বিক্রি করেন বৃদ্ধা শোভা দিদি। বয়স প্রায় সত্তর, মুখে রোদে পোড়া রেখা, পলিথিনে মুড়ে রাখা কিছু কমলা আর আপেল তার সঙ্গী।
একটি কিশোর – নাম রোহিত – ক্লাস ইলেভেনের ছাত্র, মেধাবী, কিন্তু ইদানীং বদলে গেছে। মা-বাবার কড়া শাসন, পরীক্ষার চাপ, আর মনের গভীরে জমে থাকা কিছু দুঃখ তাকে একটা অন্যরকম রাস্তায় নিয়ে গেছে — বন্ধুদের সঙ্গে মাঝে মাঝে পকেটে থাকা বাড়ির টাকা চুরি করে, গাঁ*জা খায়, আর নিজের রাগ ঝাড়ে অচেনা মানুষের ওপর।
সেদিন সন্ধ্যেয়, বন্ধুদের সঙ্গে সে চ্যালেঞ্জ করে –
“দেখবি, ওই বুড়ির থেকে একটা আপেল তুলে নিয়ে আসব, আর উনি কিছু করতে পারবেন না।”
সবার হাসি, হাততালি।
রোহিত দৌড়ে গিয়ে শোভা দিদির থেকে একটা আপেল কাড়ে। দিদি কিছু না বলে, শুধু হাত বাড়িয়ে বললেন —
“বাবা, ওটা নিও, কিন্তু টাকাটা দিয়ে দিও, আমি আজ দুপুর থেকে কিছু খাইনি।”
রোহিত থমকে গেল।
চোখাচোখি হল কয়েক সেকেন্ড।
সেই চোখে রাগ ছিল না, ছিল একটা অসহায় অভিমান।
সে ফিরেও তাকাল না, চলে গেল, কিন্তু রাতে ঘুম এল না।
পরদিন সে ঠিক করল, ক্ষমা চাইবে।
সকালে স্কুল যাওয়ার আগে সে নিজের টিফিনের জন্য রাখা ২০ টাকা পকেটে নিয়ে গেল। গড়িয়াহাট মোড়ে গিয়ে দেখে, শোভা দিদির জায়গায় একটা ফুলের মালা পড়ে আছে, আর পাশে কয়েকজন দোকানদার কাঁধে মাথা ঝুঁকিয়ে বলছে — “কাল রাতেই চলে গেলেন।”
রোহিত স্তব্ধ হয়ে গেল।
তার চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়ছে, কেউ দেখছে কি না, তাতে কিছু যায় আসে না।
গল্পের শিক্ষা:
ক্ষমা চাওয়ার জন্য দেরি করলে হয়তো সামনে আর কেউ থাকবে না, শুধু থাকবে অপরাধবোধের এক পাহাড়।
No comments yet.