
না বললেই হতো
Rating: 0.0 | Likes: 0 | Views: 29 | Shares: 1
পূর্বা এক প্রাইভেট স্কুলে ইংরেজি শিক্ষিকা। বয়স ত্রিশের কাছাকাছি। কাজের প্রতি যত্নবান, ছাত্রীদের প্রিয়। তবে একটাই সমস্যা—অতিরিক্ত খোলামেলা স্বভাব। অফিসের ভেতরের কথা, সহকর্মীদের বিষয়ে মতামত, কারোর পোশাক, কারোর চালচলন—সব নিয়েই তাঁর মুখে মন্তব্য থাকতো। তবে তাঁর মনে হতো, তিনি যা বলেন, সেটা সত্যি, সোজাসুজি কথা।
একদিন স্টাফরুমে বসে চায়ের কাপ হাতে সহকর্মী সীমার সঙ্গে গল্প করছিলেন পূর্বা। হালকা হাসির ছলে বললেন,
— "জানো সীমা, আমাদের সিনিয়র মিসেস চট্টোপাধ্যায় একটু বাড়াবাড়ি করছেন না? কীভাবে যে এতদিন টিকে আছেন, বুঝি না! ক্লাসে ঢুকেই তো ছাত্রছাত্রীরা বিরক্ত হয়ে যায়। অথচ ওনাকেই আবার কো-অর্ডিনেটর বানানো হলো!"
সীমা তখন শুধু হেসে গেল। কিছু বলল না।
পরদিন সকাল ৯টা। প্রিন্সিপালের ঘর থেকে ডাকা হলো পূর্বাকে।
প্রিন্সিপাল বললেন,
— "পূর্বা, শুনলাম আপনি মিসেস চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে স্টাফরুমে অপ্রাসঙ্গিক এবং অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন? আপনি জানেন, উনি আমাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষিকা। এসব মন্তব্য পেশাগত পরিবেশের জন্য ভালো নয়।"
পূর্বার মুখ শুকিয়ে গেল। বুঝতেই পারলেন কে তাঁর কথা পৌঁছে দিয়েছে। সাফাই দিয়ে বললেন,
— "আমি তো শুধু বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। কারো ক্ষতি করার জন্য বলিনি।"
প্রিন্সিপাল বললেন,
— "কিন্তু আপনার বলা কথাগুলো এখন পুরো স্টাফরুমে আলোচনার বিষয়। এতে পরিবেশ খারাপ হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে আপনাকে পরবর্তী ওয়ার্কশপ থেকে বাদ দেওয়া হলো। আপনি বুঝতেই পারছেন—একজন কো-অর্ডিনেটরের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য কতটা অশোভন।"
পূর্বা চুপ করে বেরিয়ে এলেন অফিস থেকে। সে দিনটা ক্লাসে মন দিতে পারলেন না। ছাত্রদের প্রশ্নেও হালকা হেসে এড়িয়ে গেলেন। বারবার মনে হচ্ছিল—না বললেই হতো। একটু মুখ বন্ধ রাখলেই হয়তো এই অপমান, এই হেয় হওয়া, এড়ানো যেত।
শিক্ষা:
সব সত্যি কথা মুখ ফুটে বলার দরকার নেই। কখনো কখনো চুপ থাকা, মন্তব্য না করাই শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত।
একদিন স্টাফরুমে বসে চায়ের কাপ হাতে সহকর্মী সীমার সঙ্গে গল্প করছিলেন পূর্বা। হালকা হাসির ছলে বললেন,
— "জানো সীমা, আমাদের সিনিয়র মিসেস চট্টোপাধ্যায় একটু বাড়াবাড়ি করছেন না? কীভাবে যে এতদিন টিকে আছেন, বুঝি না! ক্লাসে ঢুকেই তো ছাত্রছাত্রীরা বিরক্ত হয়ে যায়। অথচ ওনাকেই আবার কো-অর্ডিনেটর বানানো হলো!"
সীমা তখন শুধু হেসে গেল। কিছু বলল না।
পরদিন সকাল ৯টা। প্রিন্সিপালের ঘর থেকে ডাকা হলো পূর্বাকে।
প্রিন্সিপাল বললেন,
— "পূর্বা, শুনলাম আপনি মিসেস চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে স্টাফরুমে অপ্রাসঙ্গিক এবং অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন? আপনি জানেন, উনি আমাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষিকা। এসব মন্তব্য পেশাগত পরিবেশের জন্য ভালো নয়।"
পূর্বার মুখ শুকিয়ে গেল। বুঝতেই পারলেন কে তাঁর কথা পৌঁছে দিয়েছে। সাফাই দিয়ে বললেন,
— "আমি তো শুধু বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। কারো ক্ষতি করার জন্য বলিনি।"
প্রিন্সিপাল বললেন,
— "কিন্তু আপনার বলা কথাগুলো এখন পুরো স্টাফরুমে আলোচনার বিষয়। এতে পরিবেশ খারাপ হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে আপনাকে পরবর্তী ওয়ার্কশপ থেকে বাদ দেওয়া হলো। আপনি বুঝতেই পারছেন—একজন কো-অর্ডিনেটরের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য কতটা অশোভন।"
পূর্বা চুপ করে বেরিয়ে এলেন অফিস থেকে। সে দিনটা ক্লাসে মন দিতে পারলেন না। ছাত্রদের প্রশ্নেও হালকা হেসে এড়িয়ে গেলেন। বারবার মনে হচ্ছিল—না বললেই হতো। একটু মুখ বন্ধ রাখলেই হয়তো এই অপমান, এই হেয় হওয়া, এড়ানো যেত।
শিক্ষা:
সব সত্যি কথা মুখ ফুটে বলার দরকার নেই। কখনো কখনো চুপ থাকা, মন্তব্য না করাই শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত।
No comments yet.